Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st অক্টোবর ২০২৪

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
 

(প্রিপেইড মিটার গ্রাহকদের জন্য)

 

 

১. প্রিপেইড গ্যাস মিটার কি?

এটি কন্টাক্টলেস স্মার্ট কার্ডভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন গ্যাস পরিমাপের ডিজিটাল মিটার। নিকটস্থ ভেন্ডিং স্টেশন (রিচার্জ পয়েন্ট) হতে স্মার্ট কার্ড অথবা মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে ক্রেডিট ক্রয় করে প্রিপেইড মিটার রিচার্জের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার করা যায়। মিটারটিতে একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে রয়েছে এবং এর মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জানা যায়। প্রিপেইড গ্যাস মিটারে ব্যাটারি চালিত স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রক ভাল্বের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ, চালু ও বন্ধ করার সুবিধা রয়েছে।

 

২. প্রিপেইড গ্যাস মিটারের সুবিধাসমূহ কি কি?

প্রিপেইড গ্যাস মিটারের সুবিধাসমূহ

- গ্রাহক যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করবে রিচার্জকৃত অর্থ হতে ততটুকু বিল কাটা হবে (pay-as-you-go), রিচার্জকৃত অবশিষ্ট অর্থ ব্যালেন্স হিসেবে জমা থাকবে।

- প্রতিটি চুলার (সিঙ্গেল/ডাবল বার্নার) জন্য পৃথক প্রিপেইড মিটার স্থাপন করার কারণে ব্যবহারের

ক্ষেত্রে flexibility রয়েছে।

- গ্যাস বিল বকেয়াজনিত খেলাপী গ্রাহক হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

- ট্যারিফ পরিবর্তনের কারনে বর্ধিত জামানতের প্রয়োজন নেই।

- ক্রেডিট শেষ হয়ে গেলেও ইমারজেন্সি ব্যালেন্স সুবিধা থাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ চালু থাকবে।

- স্মার্ট মোবাইল ফোনে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমের (যেমন: নগদ, রকেট, উপায়, বিকাশ, ইত্যাদি) মাধ্যমে মিটার রিচার্জ করার সুযোগ থাকবে।

- প্রিপেইড গ্যাস মিটার এর জন্য এককালীন কোন অর্থ প্রদান করতে হবে না, প্রতিমাসে প্রথম রিচার্জ এর সময় নির্ধারিত মিটার ভাড়া আদায় করা হবে।

- সর্বোপরি গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।

 

 

৩. প্রি-পেইড স্মার্ট মিটারের টাচ বাটন কোনটি?

প্রি-পেইড স্মার্ট মিটারের সম্মুখ অংশে GPRS লেখার ঠিক নিচের অংশে আঙ্গুলের ছাপ সম্বলিত বাটনটি টাচ বাটন।

 

 

৪. "শর্ট প্রেস" এবং "লং প্রেস" কি?

"শর্ট প্রেস" - প্রি-পেইড স্মার্ট মিটারের টাচ বাটনটি ১ সেকেন্ডরও কম সময় নিয়ে টাচ করাকে বলা হয় "শর্ট প্রেস"।"লং প্রেস" - প্রি-পেইড স্মার্ট মিটারের টাচ বাটনটি ৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে টাচ করে ধরে রাখাকে বলা হয় "লং প্রেস" ।

 

৫. POS সেন্টার কি?

POS (Point Of Sale) সেন্টার বা ভেন্ডিং স্টেশন (রিচার্জ পয়েন্ট) হচ্ছে যেসব স্থান হতে কাস্টমার NFC কার্ডের মাধ্যমে ক্রেডিট ক্রয় করে প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করে গ্যাস সরবরাহ সচল রাখতে পারেন।

 

 

 

৬. প্রি-পেইড স্মার্ট মিটারে কিভাবে NFC কার্ড সঠিকভাবে ধরতে হয়?

প্রি-পেইড স্মার্ট মিটারে এনএফসি কার্ড সঠিকভাবে ধরার নিয়ম হলো কার্ডের যেকোন পার্শ্ব দিয়ে মিটারের NFC লেখাটি এমন ভাবে ঢেকে দিয়ে চাপ দিয়ে ধরতে হবে যাতে ডিসপ্লে অংশটি দেখা যায়।

 

৭. NFC কার্ড হারিয়ে গেলে বা নষ্ট (Physical Damage) হয়ে গেলে কি করতে হবে?

কোন কারনে গ্রাহকের NFC কার্ড হারিয়ে গেলে বা নষ্ট (Physical Damage) হলে সেক্ষেত্রে গ্রাহককে নিজ নিজ আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয় কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি পালনের সাপেক্ষে গ্রাহককে নতুন NFC কার্ড সরবরাহ করবে।

 

৮. NFC কার্ড এর মাধ্যমে কিভাবে রিচার্জ করা হয়?

"POS" সেন্টার এর মাধ্যমে মিটার রিচার্জ করার পদ্ধতি:

 

১ম ধাপ

আপনার স্মার্ট কার্ডটি নিয়ে নিকটস্থ "POS" সেন্টারে চলে আসুন।

 

২য় ধাপ

আপনার স্মার্ট কার্ড এবং রিচার্জ এর সমপরিমাণ টাকা 'POS" সেন্টারের প্রতিনিধির নিকট প্রদান করুন।

 

৩য় ধাপ

"POS" সেন্টারের প্রতিনিধি আপনাকে টাকার রশিদসহ স্মার্ট কার্ডটি TOP-UP শেষে ফেরত দেবেন।

 

৪র্থ ধাপ

স্মার্ট কার্ডটি মিটারের গায়ে NFC লেখা চিহ্নের উপর ধরুন।

 

৫ম ধাপ

 এরপর মিটারের টাচ বাটনটি একবার প্রেস ("শর্ট প্রেস") করুন ।

 

৬ষ্ঠ ধাপ

ডিসপ্লেতে প্রথমে C লিখা আসবে এবং HELLO লেখা না আসা পর্যন্ত কার্ডটি ধরে রাখুন।

 

৭ম ধাপ

সফলভাবে রিচার্জ সম্পন্ন হলে, ক্রয়কৃত গ্যাসের পরিমাণ ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত হবে।

 

অথবা

 

তাৎক্ষণিকভাবে ক্রয়কৃত গ্যাসের পরিমাণ মিটারে যোগ করতে চাইলে মিটারের টাচ বাটনটি পাঁচ সেকেন্ড চেপে ধরুন ("লং প্রেস")। মিটার অনলাইনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রয়কৃত গ্যাসের পরিমান মিটারে যোগ করবে।

এরপর প্রেস বাটনে "শর্ট প্রেস" করলেই মিটারের ভাল্বটি ওপেন হবে এবং গ্যাস সরবরাহ সচল হবে।

 

৮. মোবাইল অ্যাপস এ কিভাবে রেজিস্ট্রেশন, লগইন এবং মিটার সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়?

 

১ম ধাপ: রেজিস্ট্রেশন এবং লগইন

১। প্রথমে লগইন পেজ থেকে Registration অপশনে ক্লিক করুন।

২। আপনার Phone No., Verification Code, Nickname এবং Password দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।

৩। Registration সম্পন্ন হলে Phone No. এবং Password দিয়ে অ্যাপ এ লগইন করুন।

২য় ধাপ: অ্যাপস এ মিটার সংযুক্ত করার পদ্ধতি

১। লগইন করার পর অ্যাপস এ Add Meter পেজে আপনার নতুন মিটার নাম্বারটি অ্যাড করুন।

২। প্রযোজ্য টেক্সট বক্সে Meter Number এবং Prepaid Code লিখে Confirm বাটন চাপুন।

৩। মিটার সংযুক্ত হলে মিটারের যাবতীয় তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত হবে।

৪। একাধিক মিটার সংযুক্ত করতে User Management option   Facility Management   ক্লিক করুন।

 

৯. মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে কিভাবে রিচার্জ করা হয়?

মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে রিচার্জ করার নিয়ম:

রিচার্জ পদ্ধতি

১। মোবাইল অ্যাপস এ লগইন করে মিটার ইনফরমেশন পেজের Pay অপশনে ক্লিক করুন।

২। ডিসপ্লেতে গ্রাহকের তথ্য প্রদর্শিত হবে।

৩। টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে কনফার্ম বাটন চাপুন

৪। অতঃপর আপনার পছন্দের পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন

৫। পেমেন্ট সম্পন্ন হলে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে মিটার অনলাইনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রয়কৃত গ্যাসের পরিমাণ মিটার যোগ করবে। অথবা,

৬। তাৎক্ষণিকভাবে ক্রয়কৃত গ্যাসের পরিমাণ মিটারে যোগ করতে চাইলে মিটারের টাচ বাটনটি পাঁচ সেকেন্ড চেপে ধরুন ("লং প্রেস")। মিটার অনলাইনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রয়কৃত গ্যাসের পরিমান মিটারে যোগ করবে।

এরপর প্রেস বাটনে "শর্ট প্রেস" করলেই মিটারের ভাল্বটি ওপেন হবে এবং গ্যাস সরবরাহ সচল হবে।

 

১০. প্রি-পেইড স্মার্ট মিটারে কিভাবে অটোমেটিক রিচার্জ সম্পন্ন হয়?

প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার রিচার্জের উদ্দেশ্যে স্মার্ট কার্ড অথবা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ক্রেডিট ক্রয় করে রাত ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলে অর্থাৎ মিটারের কাছে গিয়ে রিচার্জ পদ্ধতি অবলম্বন না করলেও মিটারে রাত ১২ টার পরে অটোমেটিক রিচার্জ সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং ক্রয়কৃত গ্যাসের পরিমাণ মিটারে যুক্ত হবে।

 

১১. মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে রিচার্জ করার ক্ষেত্রে কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?

মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে রিচার্জ করার ক্ষেত্রে একাধিক মিটার সংযুক্ত করা থাকলে তন্মধ্যে একটি মিটার ডিফল্ট হিসেবে সেট থাকে। এই ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট মিটারে ক্রেডিট ক্রয় করার ক্ষেত্রে মিটার নাম্বার ভালোভাবে চেক করা উচিত। অন্যথায় ডিফল্ট মিটার নাম্বারে ক্রেডিট ক্রয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

 

 

১২.কিভাবে ব্যালেন্স চেক করতে হয়?

ব্যালেন্স চেক করার  ক্ষেত্রে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটারের টাচ বাটনটি "শর্ট প্রেস" করার পরে প্রথমেই মিটার ভার্সন নাম্বার ডিসপ্লেতে দেখা যাবে। দ্বিতীয়বার টাচ বাটন "শর্ট প্রেস" করলে ডিসপ্লেতে বর্তমান ব্যালেন্স ঘনমিটারে প্রদর্শিত হবে।

 

 

১৩. অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স অ্যালার্ম কি?

স্মার্ট মিটার রিচার্জের পরে রিচার্জকৃত গ্যাসের পরিমান ব্যবহারজনীত কারনে কমতে থাকে। ব্যবহারজনীত কারনে কমতে কমতে গ্যাসের পরিমান শূন্য (০) ঘনমিটারে পৌছলে স্মার্ট মিটারটি অটোমেটিক ভাল্ব বন্ধের মাধ্যমে অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স অ্যালার্ম প্রদান করে। পরবর্তীতে গ্রাহক মিটারের কাছে গিয়ে প্রেস বাটনে "শর্ট প্রেস" করলে  মিটারের ভাল্বটি পুনরায় ওপেন হবে এবং ইমার্জেন্সি গ্যাস সরবরাহ সচল হবে।

 

১৪. "অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স অ্যালার্ম" এর জন্য মিটার বন্ধ হওয়ার পর কিভাবে ভাল্ব পুনরায় চালু করতে হয়?

"অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স অ্যালার্ম" এর জন্য মিটার বন্ধ হওয়ার পরে প্রথমেই গ্রাহককে NFC কার্ড বা মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে মিটার ক্রেডিট ক্রয় করার পর মিটারে রিচার্জ সম্পন্ন করার পর টাচ বাটনে শর্ট প্রেস করলে মিটারের ভাল্বটি ওপেন  হবে এবং ইমার্জেন্সি  গ্যাস সরবরাহ সচল হবে।

 

১৫. প্রতিবার রিচার্জে গ্রাহক কি পরিমান ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স গ্রহন করতে পারে?

প্রতিবার রিচার্জে গ্রাহক ৮ ঘনমিটার পরিমান ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স গ্রহন করতে পারে।

 

১৬. ব্যালেন্স শেষ হলে কিভাবে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স গ্রহন করতে হয়?

ব্যবহারজনীত কারনে গ্যাসের পরিমান কমতে কমতে যখন ০ ঘনমিটারে পৌছে, তখন স্মার্ট মিটার অটোমেটিক ভাল্ব বন্ধের মাধ্যমে "অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স অ্যালার্ম" দেয়। পরবর্তীতে গ্রাহক মিটারের কাছে গিয়ে প্রেস বাটনে "শর্ট প্রেস" করলে  ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স চালু হওয়ার মাধ্যমে  গ্যাস সরবরাহ সচল হয়।

 

১৭. গ্রাহক প্রতিবার প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ কতো টাকা রিচার্জ করতে পারবেন?

প্রি-পেইড মিটার গ্রাহক প্রতিবার রিচার্জে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা সমপরিমান রিচার্জ করতে পারবেন।

 

১৮. প্রি-পেইড মিটার গ্রাহককে কিভাবে এবং কতো টাকা মিটার ভাড়াবাবদ চার্জ প্রদান করতে হয়?

প্রি-পেইড মিটার গ্রাহকের আঙ্গিনায় জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানি কর্তৃক বিনামূল্যে স্মার্ট প্রি-পেইড গ্যাস মিটার ইনস্টল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রাহককে শুধুমাত্র মিটার ভাড়া বাবদ প্রতিমাসে ২০০ টাকা প্রদান করতে হয় যা গ্রাহকের রিচার্জকৃত মোট টাকা হতে স্মার্ট মিটার কর্তন করে নেয়। প্রতি মাসের প্রথম রিচার্জ হতে মিটার ভাড়া (ভাড়া বকেয়া থাকলে বকেয়া ভাড়াসহ) কর্তন করা হয়।

 

১৯. প্রি-পেইড মিটার গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম কতো টাকা?

প্রি-পেইড মিটার গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৮ টাকা মাত্র।

 

২০. নির্দিষ্ট পরিমান টাকা রিচার্জে কতো ঘনমিটার গ্যাস পাওয়া যাবে?

     = প্রাপ্ত ঘনমিটার

 

 

২১. সিসমিক অ্যালার্ম কি?

ভূমিকম্প বা অন্য কোন ধাক্কাজনিত কারনে উদ্ভুত নির্দিষ্ট পরিমান কম্পন স্মার্ট মিটার ডিটেক্ট করতে পারে এবং দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে মিটার আভ্যন্তরিন ভাল্ব অটোমেটিক বন্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে গ্রাহক টেকনিক্যাল সাপোর্ট সেন্টারে (TSC) যোগাযোগ করলে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ সচল করতে পারে।

 

২২. লো ফ্লো/লিকেজ অ্যালার্ম কি?

গ্রাহক প্রান্তে গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে মিটার হতে গ্রাহকের চুলা পর্যন্ত লাইনে সামান্য পরিমান লিকেজও থাকলে স্মার্ট গ্যাস মিটার ভাল্ব নিরাপত্তা উদ্দেশ্যে অ্যালার্ম দিয়ে অটোমেটিক বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনাকে বলা হয় স্লো ফ্লো/লিকেজ অ্যালার্ম। এক্ষেত্রে গ্রাহক জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃক অনুমোদিত ঠিকাদারের মাধ্যমে লিকেজ চেক করে মেরামত করে নিতে হবে পরবর্তীতে টেকনিক্যাল সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করলে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ সচল করে নিতে পারবে।

 

 
 (পোস্টপেইড মিটার গ্রাহকদের জন্য)
 
১. আমি কিভাবে আমার বাড়িতে গ্যাস সংযোগ পেতে পারি?
 
(বর্তমানে সরকারী আদেশের কারণে নতুন ডোমেস্টিক কানেকশন বন্ধ রাখা হয়েছে) প্রথমে আপনার নিকটস্থ অফিসে যোগাযোগ করুন যেখানে আপনাকে পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় খরচ এবং অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে। সাধারণত আপনাকে নির্ধারিত আবেদনপত্র পূরণ করে দুই কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জমির মালিকানার দালিলিক প্রমাণপত্র, জালালাবাদ গ্যাসের তালিকাভুক্ত ১.১ ঠিকাদারের নিয়োগ, আবেদন ফরম ক্রয়ের রশিদ, বিদ্যমান নিম্নচাপ গ্যাস লাইনের স্কেচ ম্যাপ এবং প্রস্তাবিত গ্যাস লাইনের লে-আউট সংযুক্ত করতে হবে। একটি সম্পূর্ণ আবেদন প্রাপ্ত হলে, সংশ্লিষ্ট অফিস জরিপ পরিচালনা করবে, একটি ডিমান্ড নোট প্রস্তুত করবে এবং এটি জারি করা হবে। ডিমান্ড নোটে আপনাকে সংযোগ ফি, সিকিউরিটি মানি, তিন মিটারের বেশি অতিরিক্ত পাইপ লাইনের খরচ দেখানো হবে যা আপনার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য খরচের উপাদান এবং এইভাবে মনোনীত ব্যাংকে ছয় মাসের মধ্যে জমা প্রদান।  সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 
 
২. আমি কোথায় আবেদন ফরম পেতে পারি?
 
আপনার এলাকার নিকটবর্তী গ্যাস অফিস কে আঞ্চলিক বিতরণ অফিস (আরডিও) বলা হয়। কাঙ্ক্ষিত অফিসটির প্রকৃত লোকেশন জানার জন্য ওয়েবসাইটে বিদ্যমান  "টেলিফোন নম্বর" বোতামটি ক্লিক করে টেলিফোন এ যোগাযোগ করে নিশ্চিত হতে পারেন। আবেদন ফরম ক্রয় করার জন্য প্রথমে নির্ধারিত ব্যাংকে ফি জমা দিতে হবে। অত:পর টাকা জমার রসিদটি আঞ্চলিক বিতরণ অফিসে নিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদন ফরম সরবরাহ করবে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরমে ক্লিক করে একটি নমুনা আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যেতে পারে।
 
৩. তালিকাভুক্ত ঠিকাদার নিয়োগ করা কি বাধ্যতামূলক?
 
হ্যাঁ অবশ্যই। তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা, ভাল প্রশিক্ষিত যোগ্য টেকনিশিয়ান, ফিটার এবং অন্যান্য বিশেষায়িত সরঞ্জাম রয়েছে। এগুলি একসাথে আপনার বাড়ি, হোটেল, রেস্তোঁরা, কারখানা বা অন্য কোথাও গ্যাস ইনস্টলেশনের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে। বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য ঠিকাদারের বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে যা নিচে বর্ণনা করা হয়েছে:
 
ক্রম: নং কাজের ধরণ ঠিকাদারের ক্যাটাগরী
০১. আবাসিক সংযোগ ১.১
০২. হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মিটার কলোনি এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক সংযোগ ১.২
০৩. শিল্প, চা বাগান, ইটভাটা এবং অন্যান্য বাল্ক গ্রাহক ১.৩
 
৪. ডিমান্ড নোট/চাহিদাপত্র কি?
 
ডিমান্ড নোট/চাহিদাপত্র হলো গ্যাস সংযোগ পাওয়ার জন্য জালালাবাদ গ্যাসকে প্রদেয় ডিটেইল ব্রেকআপসহ টাকার স্টেটমেন্ট। এটি ব্যয়ের বিভিন্ন উপাদান যেমন সংযোগ ফি, পরিষেবা পাইপ লাইনের খরচ, সুরক্ষা আমানত ইত্যাদি দেখায়। এটিতে অভ্যন্তরীণ পাইপ লাইনের জন্য ব্যয় বা আপনার নিযুক্ত ঠিকাদারকে প্রদেয় অর্থের পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত নয়। যাইহোক, একবার একটি ডিমান্ড নোট জারি করা হলে, এটি একটি ইঙ্গিত দেয় যে জালালাবাদ গ্যাস আপনার জমা দেওয়া নথিতে সন্তুষ্ট এবং আপনার প্রয়োজন মেটাতে কাছাকাছি একটি গ্যাস লাইন রয়েছে। তবে এটি আপনাকে গ্যারান্টি দিতে পারে না যে আপনি গ্যাস সংযোগ পেতে যাচ্ছেন যেমন আপনার প্রতিবেশীরা আপত্তি উত্থাপন করতে পারে বা জালালাবাদ গ্যাসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে মামলা মোকদ্দমার কারণে।
 
৫. জরুরী পরিস্থিতিতে আমি কোথায় যোগাযোগ করতে পারি?
 
অগ্নিকাণ্ডের প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে, আপনার অবিলম্বে নিকটস্থ ফায়ার ব্রিগেড অফিসের সাথে যোগাযোগ করা উচিত এবং তারপরে সাহায্যের জন্য গ্যাস অফিসে যোগাযোগ করা উচিত। তবে, যদি আগুনের প্রাদুর্ভাব গুরুতর হয় এবং আপনার যদি পরিষ্কার ধারণা থাকে তবে আপনি রাইজারে অবস্থিত লকিং ককটি বন্ধ করতে একটি রেঞ্চ ব্যবহার করতে পারেন (গ্যাস পাইপ লাইনটি সম্ভবত আপনার প্রধান প্রবেশদ্বারের চারপাশে মাটি থেকে উপরের দিকে প্রজেক্টেড)। তাই ফায়ার ব্রিগেড অফিস ও গ্যাস অফিসের টেলিফোন নম্বর হাতের কাছে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। গ্যাস অফিসের টেলিফোন নম্বরগুলি ওয়েবসাইটের বাম দিক থেকে টেলিফোন নম্বর বোতামটি ক্লিক করে এবং আপনার গ্যাস বিল বই থেকেও দেখা এবং মুদ্রণ করা যেতে পারে।
 
৬. গ্যাস সংযোগ পেতে কি কি কাগজপত্র লাগবে?
 
সাধারণত নির্ধারিত ফরম পূরণ করে দুই কপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জমির মালিকানার দালিলিক প্রমাণপত্র, জালালাবাদ গ্যাসের তালিকাভুক্ত ক্যাটাগরি ১.১ ঠিকাদারের নিয়োগ, ক্রয় আবেদনপত্র গ্রহণ, বিদ্যমান নিম্নচাপের গ্যাস লাইনের স্কেচ ম্যাপ এবং প্রস্তাবিত গ্যাস লাইনের লে-আউট সংযুক্ত করতে হবে। গ্যাস সংযোগ নিতে প্রয়োজনীয় হালনাগাদ নিয়ম ও কাগজপত্র পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 
 
৭. গ্যাস কানেকশন পেতে কত সময় লাগতে পারে?
 
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আপনার পূরণকৃত আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সাথে সাথে এবং একজন তালিকাভুক্ত ঠিকাদারকে নিয়োগ করার সাথে সাথে এবং প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে যদি দেখা যায় যে আবেদনটিতে প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে, তবে স্থানীয় অফিসের একজন সুপারভাইজার / সার্ভেয়ার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করবেন এবং আপাত সমস্যা না থাকলে একটি ডিমান্ড নোট জারি করবেন অন্যথায় আপনাকে আরও প্রয়োজনীয়তার পরামর্শ দেওয়া হবে। তবে ডিমান্ড নোট ইস্যু করে ডিমান্ড নোটে উল্লেখিত টাকা নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিলে জালালাবাদ গ্যাসের নিযুক্ত ঠিকাদার কর্তৃক রাইজার নির্মাণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভাব্য গ্রাহকদের তালিকায় আপনার নাম থাকবে। এই ঠিকাদার সাধারণত জালালাবাদ গ্যাসের তিন থেকে পাঁচটি অফিস পালাক্রমে একে একে এবং লাইনে অপেক্ষমাণ গ্রাহকের সংখ্যার ভিত্তিতে কাজ করে। সুতরাং এই অবস্থার উপর নির্ভর করে, আপনাকে গ্যাস সংযোগের জন্য সাধারণত এক থেকে চার মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে। দয়া করে মনে রাখবেন যে রাইজার নির্মাণের আগে, আপনার অভ্যন্তরীণ গ্যাস লাইনটি অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট জালালাবাদ গ্যাস অফিস কর্তৃক অনুমোদিত লেআউট অঙ্কনের উপর ভিত্তি করে আপনার নিযুক্ত ঠিকাদার দ্বারা চাপ পরীক্ষা করতে হবে। অন্যথায় আপনি ডিমান্ড নোটে উল্লেখিত অর্থ জমা দিলেও কর্তৃপক্ষ রাইজার নির্মাণ করতে অস্বীকার করতে পারে।
 
৮. গ্যাস সংযোগ পেতে কত খরচ হতে পারে?
 
গ্যাস সংযোগ নেওয়ার খরচ অনেকগুলি কারণের উপর নির্ভর করে যেমন কম চাপের গ্যাস লাইন থেকে আপনার বাড়ির দূরত্ব, রাস্তার মালিক বা রাস্তার ধরণ যেখানে সার্ভিস গ্যাস লাইন স্থাপন করা হবে ইত্যাদি। ব্যয়টি দুটি প্রকারে বিভক্ত করা যেতে পারে: জালালাবাদ গ্যাসকে সরাসরি প্রদেয় পরিমাণ এবং অভ্যন্তরীণ গ্যাস লাইনের জন্য উপকরণের ব্যয় সহ ঠিকাদারকে আপনি যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন (প্রধানত জিআই পাইপ এবং জিনিসপত্র)। এ ছাড়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ইত্যাদি বরাবর সড়ক কাটার অনুমতির জন্য ফি দিতে হতে পারে। এই ফি নির্ভর করে কতটুকু রাস্তা কাটা হবে, ধাতব না ধাতব (কাঁচা) এবং রাস্তার পাশে বা রাস্তা পারাপারের উপরও। জালালাবাদ গ্যাসকে আপনি যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন তার মধ্যে রয়েছে সংযোগ ফি, সিকিউরিটি মানি যা তিন মাসের গ্যাস বিলের সমান, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পাকা রাস্তা কাটার খরচ, প্রয়োজনে খাল বা রাস্তা পারাপারের জন্য ব্যয়, অতিরিক্ত পরিষেবা পাইপলাইনের জন্য ব্যয় এবং এটি স্থাপনের জন্য ব্যয়। সংযোগ ফি একটি সার্ভিস-টি, তিন মিটার 3/4 ইঞ্চি এমএস পাইপ, একটি লকিং কক, একটি নিয়ন্ত্রক এবং রাইজার নির্মাণের খরচ অন্তর্ভুক্ত। এই সংযোগ ফি কোম্পানি দ্বারা অনেকাংশে ভর্তুকি দেওয়া হয়। তাই প্রয়োজন হতে পারে এমন প্রকৃত খরচ দেওয়া খুবই কঠিন। আপনাদের একটা ধারণা দেই, আমাদের গ্রাহকদের একটি বড় অংশ জালালাবাদ গ্যাসকে ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করে এবং ঠিকাদারকে প্রদেয় চার্জসহ অভ্যন্তরীণ লাইনের উপকরণের মূল্য বাবদ সমপরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হতে পারে। আপনি সর্বদা ঠিকাদারকে গ্যাস সংযোগের জন্য একটি প্রাক্কলন প্রস্তুত করতে এবং ঠিকাদারদের মধ্যে দর কষাকষি করতে বলতে পারেন। তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের নাম আপনার জানা না থাকলে আপনি স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, স্থানীয় গ্যাস অফিসের কর্মকর্তারা আপনাকে অনুমান করতে সহায়তা করতে পারে।
 
৯. আশেপাশে গ্যাসের লাইন নেই, তাহলে গ্যাস কানেকশন নেবো কিভাবে?
 
কাছাকাছি গ্যাস লাইন না থাকলে গ্যাস সংযোগ নেওয়া কারিগরি ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নাও হতে পারে। আপনি রান্নার অন্যান্য উপায় যেমন সিলিন্ডার গ্যাস, পিট কয়লা, বায়ো-গ্যাস বা রান্নার ঐতিহ্যগত উপায় বিবেচনা করতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও মরিয়া হয়ে থাকেন তবে আপনি সার্ভিস লাইনের পুরো খরচ বহন করতে পারেন তবে জালালাবাদ গ্যাস আপনাকে ব্যয় জড়িত সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য একটি জরিপ পরিচালনা করতে পারে। যদি আপনার বাড়িতে যাওয়ার পথে ভাল সংখ্যক সম্ভাব্য গ্রাহক থাকে তবে মোট ব্যয়টি আপনার প্রতিবেশীদের দ্বারা সমানভাবে বা আনুপাতিকভাবে ভাগ করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে কোম্পানি প্রায়শই, তার নিজস্ব বিবেচনার ভিত্তিতে, কিছু নির্ধারিত শর্ত পূরণ করা হলে কিছু ভর্তুকি প্রদান করতে পারে। আপনি এই জাতীয় ভর্তুকির পাশাপাশি বিস্তারিত পদ্ধতির জন্য স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
 
 
 
 
১০. আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগের মধ্যে পার্থক্য কী?
 
একই গ্যাস বিভিন্ন কাজে যেমন পারিবারিক রান্না, হোটেল/রেস্টুরেন্ট, শিল্প কাজ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার উৎপাদন, সিএনজি ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে গ্যাসের দামের তারতম্য রয়েছে। তাই গ্যাস ব্যবহারের উদ্দেশ্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে গৃহস্থালিতে গ্যাসের দাম বাণিজ্যিক ব্যবহারের তুলনায় কম, এবং শিল্প মূল্যও বাণিজ্যিক মূল্যের চেয়ে কম। কখনও কখনও এটি বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠে যে নির্দিষ্ট ধরনের ব্যবহার বাণিজ্যিক বা শিল্প কিনা। স্পষ্টীকরণের জন্য আপনার নিকটস্থ গ্যাস অফিসে যোগাযোগ করুন। যদি আপনি একটি শিল্প প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছেন এবং এতে গ্যাস প্রয়োজন, তবে শিল্প ভোক্তা হিসাবে বিবেচনা করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলি কী তা জানা প্রায়ই একটি ভাল ধারণা, কারণ তার ব্যবহার বাণিজ্যিক ধরনের ব্যবহারের চেয়ে সস্তা। যেহেতু ব্যবহারের উপর নির্ভর করে হার পৃথক হয়, তাই অনুমোদিত উপায় ব্যতীত অন্য উপায়ে গ্যাস ব্যবহার করা আইনী নয়।
 
১১. আমি একটি লিজ জমি নিয়েছি, আমি কি সেখানে গ্যাস কানেকশন নিতে পারি?
 
হ্যাঁ আপনি পারবেন। তবে আপনাকে অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। বিশেষ শর্তের উপর নির্ভর করে, একটি অনাপত্তি পত্র (এনওসি) প্রয়োজন হতে পারে এবং আপনাকে অতিরিক্ত সুরক্ষা অর্থ জমা দিতে হতে পারে।
 
১২. আমি কি জালালাবাদ গ্যাস থেকে বিল ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে পারবো?
 
জালালাবাদ গ্যাস প্রতি অর্থবছরের শেষে এবং পঞ্জিকা বছরের শেষে বিল ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ইস্যু করে। এই সার্টিফিকেট নির্দেশ করে যে, সার্টিফিকেটে উল্লেখিত তারিখ পর্যন্ত কোন বিল বকেয়া নেই বা যদি থাকে তবে তা সেখানে উল্লেখ করা আছে। এমন সার্টিফিকেট না পেলে উক্ত সার্টিফিকেটের জন্য সংশ্লিষ্ট গ্যাস অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
 
৩. আমার একটি ঘরোয়া সংযোগ আছে। আমি কি আমার বাড়ির সামনে আমার দোকানের জন্য কেক/বেকারি উৎপাদন করতে এটি ব্যবহার করতে পারি?
 
প্রতিটি ধরণের সংযোগের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি রয়েছে যার অর্থ গ্যাস কেবল নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই আবাসিক গ্যাস সংযোগ থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কিছু উৎপাদন করা আইনত বৈধ নয়।
 
১৪. কখন এবং কিভাবে আমার গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন হতে পারে?
 
 তিন মাসের বেশি সময় ধরে গ্যাস বিল পরিশোধ না করা;
 গ্যাসের অননুমোদিত ব্যবহারের জন্য ;
 জননিরাপত্তার স্বার্থে;
 কোন কারণে আদালতের আদেশের কারণে;
 যে জমিতে রাইজার নির্মাণ করা হয়েছে সেই জমির মালিকানার অননুমোদিত পরিবর্তন;
 আপনি যদি কোম্পানির এখতিয়ারের মধ্যে অন্য কোথাও কোম্পানির খেলাপি গ্রাহক হন।
 
১৫. আমি এমন একটি বাড়িতে থাকি যা অন্যান্য ভাই এবং বোনের সাথে আমার। আমি কিভাবে গ্যাস সংযোগ নিতে পারি?
 
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে ওয়ারিশ সনদ এবং আপনার ভাই-বোনদের কাছ থেকে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) জমা দিতে হবে।
 
১৬. আমি বাংলাদেশের বাইরে থাকি, আমি কিভাবে বাংলাদেশে আমার বাড়িতে গ্যাস সংযোগ নিতে পারি?
 
গ্যাস সংযোগের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য আপনি এমন কোনও ব্যক্তিকে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিতে পারেন যিনি আপনার পক্ষে কাজ করতে পারেন। এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিদেশে তৈরি হলে তা সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন বা দূতাবাস কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে এবং আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।
 
১৭.আমার বেশ কয়েকজন মালিকের সাথে একটি হোটেল / সংস্থা রয়েছে। আমি কিভাবে গ্যাস সংযোগ নিতে পারি?
 
একক মালিকানা, অংশীদারি দলিল বা কোম্পানী আইন ১৯১৩ অথবা ১৯৯৪ এর অধীন গঠিত কোন বৈধ সত্তাকে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা যেতে পারে। প্রত্যেক মামলা, দলিল বা সংঘ ও স্মারকলিপিতে এমন ধারা থাকিবে যাহাতে বুঝা যায় যে, প্রত্যেক অংশীদার বা পরিচালক কর্তৃক সম্পূর্ণরূপে এবং কঠোরভাবে দায় বহন করিতে হইবে, কারণ সীমিত কোম্পানী বা গ্যাস কোম্পানীর ক্ষেত্রে পাবলিক লিমিটেডের জন্য অবলুপ্তির ক্ষেত্রে সম্পদের উপর প্রথম অগ্রাধিকার থাকিবে কোম্পানি। এই জাতীয় আইনী সত্তার ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি ফার্ম / সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করবে এবং তার পক্ষে স্বাক্ষর করবে, তাকেও অবশ্যই অংশীদারি দলিল, সমিতির নিবন্ধ বা রেজোলিউশনে লিখিত হতে হবে।
 
১৮. দুই পরিবারের মধ্যে বার্নার ভাগাভাগি করা কি বৈধ?
 
একটি একক বা ডাবল বার্নারের সাথে একটি মিটারবিহীন আবাসিক সংযোগ একটি অবিভক্ত পরিবারকে দেওয়া হয়। সুতরাং পরিবারের মধ্যে বার্নার ভাগ করে নেওয়া আইনী নয়। এমনকি যদি আপনি আপনার ফ্ল্যাটের কিছু অংশ সাবলেট দেন এবং একটি একক রান্নাঘর বিদ্যমান থাকে তবে পরিবারের প্রত্যেকের জন্য আলাদা বার্নার থাকা উচিত।
 
১৯. কোন স্থান হতে হঠাৎ গ্যাস লিকেজের কি করতে হবে?
 
ইমার্জেন্সি শাখায় অবহিত করে তাৎক্ষনিক লিক মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
 
২০. কোন স্থান হতে হঠাৎ অগ্নিকান্ডের ফোন পেলে কি করতে হবে?
 
সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্যাস ভাল্ব বন্ধ করতে হবে। এছাড়া, ইমার্জেন্সি শাখায় ও ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করতে হবে। 
 
২১. আবাসিক চুলা বৃদ্ধি করা যায় কিনা?
 
বর্তমানে সরকারী আদেশের কারণে নতুন ডোমেস্টিক কানেকশন বন্ধ রাখা হয়েছে।
 
২২. আবাসিক গ্রাহককে কত তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে হয়?
 
পরবর্তী মাসের ২১ তারিখের মধ্যে।
 
২৩. আবাসিক গ্রাহকদের বিল দিতে বিলম্ব হলে কি কোনো বিলম্ব ফি দিতে হয়?
 
প্রতি বার্নারের বিপরীতে মাসিক ১০/- টাকা হারে বিলম্ব ফি দিতে হয়।
 
২৪. নন-মিটার গ্রাহক নিজ থেকে কিভাবে তার বিল দেখবেন?
 
জালালাবাদ গ্যাসের ওয়েবসাইটে লগইন করে নন-মিটার গ্রাহক তার বকেয়া বিলের পরিমান দেখতে পরিবে।
 
২৫. কানেকশন টেম্পোরারি ডেসকানেক্টেড হলে কত বিল দিতে হয়?
 
টেম্পোরারি বিচ্ছিন্ন (বকেয়ার কারণে) গ্রাহকের বিচ্ছিন্ন সময়কালের বিল পরিশোধ এর প্রয়োজন নেই।বকেয়া বিল এবং অন্যাণ্য ফি (বিচ্ছিন্ন ফি, পুন:সংযোগ ফি) ও অতিরিক্ত জামানত আদায়যোগ্য।
 
২৬. গ্রাহক পোর্টালে বিল আপডেট হতে কত সময় লাগে?
 
অনলাইন বিল পরিশোধ করা হলে তাৎক্ষনাৎ আপডেট হয়।
 
২৭. বার্নার স্থানান্তর করা যাবে কি?
 
একই আঙিনায় স্থানান্তর করা যাবে।
 
২৮. আবাসিকে এক রাইজার থেকে রাইজার সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায় কিনা?
 
না। রাইজার সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।
 
২৯. ডোমেস্টিক এর বিল এডজাস্ট এর সময়?
 
যে মাসে কম/বেশী বিল আদায় করা হয় তার পরবর্তী মাসে গিয়ে সেটি এডজাস্ট করা হয়।
 
৩০. কোন কোন ব্যাংক থেকে বিল প্রদান করা যায়?
 
এবি ব্যাংক, অগ্রনী ব্যাংক, ব্যাংক আল ফালাহ, বেসিক ব্যাংক, বাংলদেশ কৃষি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। 
অনলাইনে বিল প্রদেয় এমএফএসসমূহ: বিকাশ/নগদ/ইউপে।
 
৩১. মিটার গ্রাহক কিভাবে বিল দেখবেন?
 
জালালাবাদ গ্যাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে।
 
৩২. গ্রাহক নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে বাৎসরিক শতকরা কত হারে জরিমানা হবে?
গ্যাস বিপণন নীতিমালা ২০১৪ অনুযয়িী।
 
৩৩. গ্রাহক কত মাস বিল পরিশোধ না করলে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়?
০৩ মাসের অধিক বকেয়া থাকলে।
 
৩৪. ডিমান্ড চার্জ কিভাবে ক্যালকুলেশন করে?
মাসিক অনুমোদিত লোড * ০.১০ টাকা (ঘনমিটার)
 
৩৫. শিল্প সংযোগ নিতে চাই, কিভাবে আবেদন করব?
অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
 
৩৬. ক্যাপটিভ পাওয়ার সংযোগ নিতে চাই, কিভাবে আবেদন করব?
অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
 
৩৭. বানিজ্যিক গ্যাস সংযোগ নিতে চাই, কিভাবে আবেদন করব?
বানিজ্যিক সংযোগ বন্ধ।
 
৩৮. সিএনজি গ্যাস সংযোগ নিতে চাই, কিভাবে আবেদন করব?
সিএনজি সংযোগ বন্ধ।